প্রেম এক নিষিদ্ধ আপেল
যত্নে ঢেকে রাখা বুকের বারান্দায় গড়িয়ে গেছে— অযাচিত মার্বেল চোখ। জেনেছি— প্রেম এক নিষিদ্ধ আপেল। চোখের সায়রে ডুবে পাঠ নিয়েছি— ঢেউ মুদ্রার। চোখ এক রঙিন আয়না কেবলই বিভ্রম ছড়ায়।
এভাবে চোখে-বুকে ছড়িয়ে যায় ধুতুরা পাতার গন্ধ। তবু গন্দম বনে— ডেকে উঠে মাতাল কোকিল। যমুনার জলে হংসমিথুন— হৃদয়ের ব্যবচ্ছেদ বাড়ায়। চোখ বুকের যত্ন থেকে সরে না— চোখ চোখের রত্ন থেকে সরে না। চোখ এক ঢেউসমুদ্র কেবলই লাবণ্য ধরে।
আদিপাপ
আঙুলের ইশারায় কেমন বেজে উঠে দেহ ঘুঙুর—শরীরের ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে রেখে গোপন শিহরণ। একটু কামড়ে অনায়াসে ফেটে যাচ্ছে আদিম আপেল। কমলার খোসার মতন টসটসে তিলোত্তমা ঠোঁট। মনটানা কাজলচোখে এঁকে কামুক ইঙ্গিত! এইসব দেহ বৈভব দোলে উঠলে রাতের জলসায়— নক্ষত্ররাজি টুকরো টুকরো ভেঙে পড়ছে
আঙুলের মিহি ঠুকায় কেঁপে কেঁপে উঠছে নাভি-নিতম্ব-নথ— খোলে খোলে পড়ছে দেহ থেকে রুপোর জৌলুস। ধীরে উদোম হচ্ছে স্বর্গ— ধীরে উদোম হচ্ছে লিলিথ। আরোহণের আগেই উড়ে যাচ্ছে ডানা পৃথিবীর দিকে—
শিকারি
দুপুরের রোদ থেকে খসে পড়লে ঘুঘুর ডাক— জারুল বনে নেমে আসে জাফরানি সন্ধ্যা। পানকৌড়ি পুচ্ছ নাচায় পাহাড়ি ঝরনায়— মানুষ অরণ্যে গেলে শিকারি হয়ে উঠে। হরিণ পালানো নিরবতা নেমে আসলে ঘুঘুর ঘরে— পানকৌড়ি পানিভাঙা পথে উড়ে যায়। পাখিদের স্কুলে উড়ালবিদ্যা শিখে নেয় হরিণ। এসব অহমিকা ভুলে আমলকি বন থেকে উড়াল দেয় এক ঝাঁক বাদুড়।
শিকারির তীর থেকে খসে গেলে বাদুড় গেরস্থের পেয়ারা বাগান আধ খাওয়া পড়ে থাকে।
সংসার
কী হবে এ জুয়াড়ি জীবন রেখে! বাজির দান রেখে অযথা। যোনিমাঠে তবু চলে প্র্যাকটিস—
রতিক্রীড়ার নয়া কৌশল। ধীরে রিরংসার জঙ্ঘায় নেমে আসে পাহাড়ি গোখরো। সহসা জেনেছি সত্য, সংসার এক সারসং বৈ কিছু নয়। এ যেন মায়া— যেনবা বিভ্রম। তবুও মানুষ আজীবন সংসারের মায়াজাল বুনে চলে—
কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকলে মানুষ ফের ফিরে আসে ঘরে— সংসারে।
রাত
আজকে রাতে ভীষণ ঝড় হোক—
তিনশো ষাট ডিগ্রী এঙ্গেলে মাতাল হোক
রাত! সস্তা হোটেলের বেশ্যাদের মতো— এলোমেলো পা ফেলুক আমার অন্দর শয্যায়। টেন পার্সেন্ট এ্যালকোহল অন্তত খেয়ে আসুক বিছানায় আজকের রাত—
নয়তো আজকে রাতে আর রাত এসো না;
আমি একাই জোছনার জালে লটকে থাকবো সারারাত— আজ আর ঘুমাবো না, আজ আমার চোখ খাবে মাতাল চাঁদ।
যত্নে ঢেকে রাখা বুকের বারান্দায় গড়িয়ে গেছে— অযাচিত মার্বেল চোখ। জেনেছি— প্রেম এক নিষিদ্ধ আপেল। চোখের সায়রে ডুবে পাঠ নিয়েছি— ঢেউ মুদ্রার। চোখ এক রঙিন আয়না কেবলই বিভ্রম ছড়ায়।
এভাবে চোখে-বুকে ছড়িয়ে যায় ধুতুরা পাতার গন্ধ। তবু গন্দম বনে— ডেকে উঠে মাতাল কোকিল। যমুনার জলে হংসমিথুন— হৃদয়ের ব্যবচ্ছেদ বাড়ায়। চোখ বুকের যত্ন থেকে সরে না— চোখ চোখের রত্ন থেকে সরে না। চোখ এক ঢেউসমুদ্র কেবলই লাবণ্য ধরে।
আদিপাপ
আঙুলের ইশারায় কেমন বেজে উঠে দেহ ঘুঙুর—শরীরের ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে রেখে গোপন শিহরণ। একটু কামড়ে অনায়াসে ফেটে যাচ্ছে আদিম আপেল। কমলার খোসার মতন টসটসে তিলোত্তমা ঠোঁট। মনটানা কাজলচোখে এঁকে কামুক ইঙ্গিত! এইসব দেহ বৈভব দোলে উঠলে রাতের জলসায়— নক্ষত্ররাজি টুকরো টুকরো ভেঙে পড়ছে
আঙুলের মিহি ঠুকায় কেঁপে কেঁপে উঠছে নাভি-নিতম্ব-নথ— খোলে খোলে পড়ছে দেহ থেকে রুপোর জৌলুস। ধীরে উদোম হচ্ছে স্বর্গ— ধীরে উদোম হচ্ছে লিলিথ। আরোহণের আগেই উড়ে যাচ্ছে ডানা পৃথিবীর দিকে—
শিকারি
দুপুরের রোদ থেকে খসে পড়লে ঘুঘুর ডাক— জারুল বনে নেমে আসে জাফরানি সন্ধ্যা। পানকৌড়ি পুচ্ছ নাচায় পাহাড়ি ঝরনায়— মানুষ অরণ্যে গেলে শিকারি হয়ে উঠে। হরিণ পালানো নিরবতা নেমে আসলে ঘুঘুর ঘরে— পানকৌড়ি পানিভাঙা পথে উড়ে যায়। পাখিদের স্কুলে উড়ালবিদ্যা শিখে নেয় হরিণ। এসব অহমিকা ভুলে আমলকি বন থেকে উড়াল দেয় এক ঝাঁক বাদুড়।
শিকারির তীর থেকে খসে গেলে বাদুড় গেরস্থের পেয়ারা বাগান আধ খাওয়া পড়ে থাকে।
সংসার
কী হবে এ জুয়াড়ি জীবন রেখে! বাজির দান রেখে অযথা। যোনিমাঠে তবু চলে প্র্যাকটিস—
রতিক্রীড়ার নয়া কৌশল। ধীরে রিরংসার জঙ্ঘায় নেমে আসে পাহাড়ি গোখরো। সহসা জেনেছি সত্য, সংসার এক সারসং বৈ কিছু নয়। এ যেন মায়া— যেনবা বিভ্রম। তবুও মানুষ আজীবন সংসারের মায়াজাল বুনে চলে—
কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকলে মানুষ ফের ফিরে আসে ঘরে— সংসারে।
রাত
আজকে রাতে ভীষণ ঝড় হোক—
তিনশো ষাট ডিগ্রী এঙ্গেলে মাতাল হোক
রাত! সস্তা হোটেলের বেশ্যাদের মতো— এলোমেলো পা ফেলুক আমার অন্দর শয্যায়। টেন পার্সেন্ট এ্যালকোহল অন্তত খেয়ে আসুক বিছানায় আজকের রাত—
নয়তো আজকে রাতে আর রাত এসো না;
আমি একাই জোছনার জালে লটকে থাকবো সারারাত— আজ আর ঘুমাবো না, আজ আমার চোখ খাবে মাতাল চাঁদ।
।।শব্দ এবং ভাষা বিন্যাসের অপূর্ব চমক আছে। প্রতিটি কবিতায়।।
ReplyDeleteভালোবাসা জানবেন,কবি।
DeleteThis comment has been removed by the author.
Delete