সিলিং ফ্যান কাব্য
সায়া অথবা প্যাণ্টির মতো লুকিয়ে থাকার শেষ
অজুহাতের কথা বলতে বলতেই কিছু শব্দ সাজানো - হয়ত জ্বলন্ত, কিংবা পুড়ে ছাই; কিছু বার বার পীড়িত রঙ - বাদামি, খয়েরি। অথচ রক্ত, জমাট বেঁধে নীল হয়ে থাকে, গাঢ় নীল। কাঠ আর ধাতুর মাঝে একটা বেচারা আঙুল কালচে বেগুনি হয়ে গেছিল।
একেবারে অন্যরকম রঙ।
ব্যবহার
হয়
সেভাবে?
ডগি অথবা মিশনারির মাঝেও তৃতীয় শক্তি অথবা
তৃতীয় বিশ্বর মত বিপন্নতার বেখেয়াল নিয়ে জানলার পর্দার দিকে তাকাও। বিরক্ত হয়ে বলো
-
'ওটা
সরে
গেছে
কেন?'
ক্লোরিন মেশানো সুইমিং পুলের মেঝেতে আকাশ
খোঁজো। ধাপে ধাপে নেমে যাওয়া আছে, আপাত প্রতিসরণ আছে, পানা পুকুরের শীতলতা
নেই - একথা বললেই বিতর্ক হবে। বিতর্কের মাঝে খাদ্য হয়ে যাওয়া ঝলসানো মুরগি অথবা
মাছভাজারা কিন্তু কেউই যুদ্ধের ক্যাজুয়ালিটি নয়! একটা নীট, একটু
সোডা, আর কিছুটা জল অবশেষে বুঝিয়েই দেবে - সব কিছু কতটা
আপেক্ষিক।
লুকিয়ে
লুকিয়ে
মেপেছ
কখনও?
সেই আপেক্ষিকতাকেও বিপন্নতা জেনে ভয় পাবে।
নেকড়ের দলকে ভয় পাবে। ব্রা-এর বেয়াড়া হুককে ভয় পাবে। সায়া অথবা পাজামার গিঁট কে ভয়
পাবে। প্রতিবার হাত কাঁপা অথবা কণ্ঠির ওঠা নামার মাঝে যেমন ভয় দুপুরের একলা
ঘুঘুটার মতো করুণ ডাক দিয়ে যায়। এক থালা এঁটো জলে রোদ্দুর, জ্যান্ত উলকা আঁকে ছাতের
তলপেটে।
তলপেটের
ব্যথাগুলো
সবাই
আলাদা?
আলতামিরার মতো ভীষণ সাংকেতিক যাপনে হঠাৎ আকাশ খুঁজতে গিয়ে ছাতে ধাক্কা খাবে। দেখবে - সিলিং ফ্যানের ছায়া দেখলে
কিছু একটা মনে পড়ে। সিলিং ফ্যান ঘুরলে, তার ছায়া দেখলে অন্য
কিছু মনে পড়ে যায়।
শুধু সেই স্মৃতি ভুলতেই তুমি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে
পড়তে চাও। বছরের ন'টা মাস এই সিলিং ফ্যানের শব্দই ঘুম-পাড়ানি গান।
চিত্রঋণ - Dimitry Vorsin
Asadharon
ReplyDeleteদারুণ
ReplyDeleteভালো
ReplyDelete