।। বাক্‌ ১১৯ ।। তাহিতি ফারজানা ।।




একগুচ্ছ কবিতা : তাহিতি ফারজানা

প্রোব্যাবিলিটি

একটি লাইন যেচে আসলো বলে
আরও চারটিকে তুমি যোগাড় করলে।

কতক শব্দ ছুঁড়ে দিলে কুয়াশা ভেদ করে
কাকতাড়ুয়ার দিকে                               
ফসলের নমুনা স্বরূপ।

তোমার ভাবনার কাকগুলো
সাদা কিংবা নীল কিংবা মিথ হওয়া
খুব সম্ভব!


স্লিপওয়াক

কাঁথার সেলাইগুলো
মানুষের মতো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে
জ্বরগ্রস্ত জিভের স্বাদ
আমাকে হাঁটিয়ে নিয়ে চলে
বাস্তব দরজার পেছনে-
যেখানে প্রতিকথারা থাকে।

অন্ধকার বেলুনের ভেতর থেকে
আমি শিষ দিতে থাকি
তলিয়ে যেতে থাকি নিজস্ব বাথটাবে।

টের পাই
জোছনার দাগ লেগে
আলচে হয়ে আছে বিছানাপত্র
ঘুমের ভেতর।


পিলসুজ

ভোরের ষ্টেশনে চায়ের টুংটাং,
দশ পেরনো পেপারবালকের হাঁক,
ধুয়ে দেয় অন্ধকার।

ফের কেউ জলে থাকে মোমদানিতে।

ভিড় বাড়ছে এইখানে
এ পাড়ায়, সংবেদী স্নায়ুগুলো থাকে
নিয়ম করে স্নানাহার সাড়ে প্রত্যহ।

আপেল নামে খ্যাত
প্রতিটি সবুজ বিষণ্ণতা
গোগ্রাসে গিলছে-

জ্বলতে থাকা মোমদানি শরীর।


পুরনো ব্রিজের নিচে

হাসি থেকে মুছে যায় অলংকার
কে কুড়ায় উজাড় করে কচুরি তুমুল
নরসুন্দার পাড়ে
নিয়নের ময়লা আলোয়

অবচেতন ধাক্কা দেয়; দিয়েছিল।

সশব্দ ট্রেন চলে গেলে
পুরনো ব্রিজের নিচে আজো
ভেসে যায়
চাঁদের আত্মহত্যা।



  

No comments:

Post a Comment